লকডাউন নয়-বিধিনিষেধ - protidinislam.com | protidinislam.com |  
আইন বিভাগ

লকডাউন নয়-বিধিনিষেধ

  প্রতিনিধি ২২ জানুয়ারি ২০২২ , ১০:২২:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ মাত্রায় বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল শনাক্তের হার সাড়ে ২৮ শতাংশে পৌঁছেছে। একদিনে রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫৫০ জন।

আরো পড়ুনঃ

শিক্ষামন্ত্রীর যে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হলো

গতকাল শুক্রবার ১১ হাজার ৪৩৪ জনের নমুনায় নতুন করে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এসময় মৃত্যু হয়েছে আরও ১২ জনের।

পরিস্থিতি অবনতির পথে। কিন্তু জীবন ও জীবিকার কথা চিন্তা করে এবার লকডাউন জারি করার সম্ভাবনা নেই।

যদিও গত বছর ২০ শতাংশের ঘরে রোগী শনাক্তের পর দেশে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। তখন গোটা দেশে নেমে আসে স্থবিরতা।

কর্মহীন হয়ে ভোগান্তিতে পড়েন নিম্নও মধ্যম আয়ের মানুষ। দরিদ্র থেকে অতি দরিদ্র হয়েছেন কোটি মানুষ।

এবার জীবন ও জীবিকায় সমন্বয় করে অদৃশ্য ভাইরাসের তাণ্ডব মোকাবিলা করতে চায় সরকার। এ জন্য ইতোমধ্যে দুই ধাপে ১৭ দফা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সরকার।

আরো পড়ুনঃ

শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পেলেন ৩৪ হাজার প্রার্থী, সুপারিশ পত্র যেভাবে পাবেন

গতকাল সর্বশেষ ছয় দফা বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। যেখানে সর্বত্র টিকা সনদ— কোভিড টেস্ট রিপোর্ট কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, সঠিক উপায়ে মাস্ক পরিধান ও সীমিত পরিসরে ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

একই সাথে গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা বাজার-শপিংমলে টিকা সনদ ও স্বাস্থ্যবিধিতে জোর দেয়া হচ্ছে। তবে ফের বন্ধ হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

আগামী দুই সপ্তাহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল শুক্রবার দুপুরে করোনা ভাইরাসের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরি প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত হন।

সেখানে তিনি বলেন, ‘সংক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে ৩৩ শতাংশ শয্যা ইতোমধ্যে পূর্ণ হয়েছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

তাই, প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে আগামী দুই সপ্তাহ স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সাথে বিয়েশাদী, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি অংশ নিতে পারবেন না এবং সবার টিকা সনদ থাকতে হবে। এগুলো কার্যকরের চেষ্টা চলছে।

সংক্রমণ যাতে কমে সে জন্য এই সিদ্ধান্ত। পরিবার, দেশে ও নিজের সুরক্ষার জন্য আমাদের নিয়মগুলো মানতে হবে। সরকার বিধিনিষেধ দেন, যাতে আমরা মেনে চলি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে খেলাধুলা আছে সেখানে টিকা সনদের পাশাপাশি টেস্টের সনদও লাগবে। এগুলো বইমেলায়ও দেখাতে হবে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে বইমেলা পেছানো হয়েছে।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতোই আমরাও চলমান পরিস্থিতির বাইরে নই। আমরা চাইব, তারা যেন আরও নজরদারি বাড়ান।

জনগণের দায়িত্ব আরও বেশি। নিজেদের সুরক্ষায় এটি নিজেদেরই পালন করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়।’

অর্ধেক লোক দিয়ে অফিস-আদালত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এটা খুব শিগগিরই প্রজ্ঞাপন আকারে চলে আসবে। গণপরিবহনে যাতে ভোগান্তি না হয়, সে জন্য অর্ধেক লোক দিয়ে অফিস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’ প্রায় একই বার্তা এসেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে।

ছয় দফার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গতকাল থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল স্কুল-কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সামাজিক, রাজনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় সমাবেশ কিংবা অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না।

এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবেন তাদের অবশ্যই টিকা সনদ অথবা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে।

সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানাসমূহে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দায়িত্ব বহন করবে। বাজার, শপিংমল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সব ধরনের জনসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

ওই বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনিটর করবে। এর আগে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় সরকার ১১ দফা বিধি-নিষেধ জারি করেছিল।

অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারা দেশে ১৫ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার ৪৪ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে ৯ কোটি ২৪ লাখ ২৬ হাজার ২৩৩ জনকে প্রথম ডোজের টিকা এবং পাঁচ কোটি ৮০ লাখ পাঁচ হাজার ২৫৯ জনকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫৫২ জনকে বুস্টার ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে।

এ পর্যন্ত করোনা টিকা গ্রহণের জন্য সর্বমোট নিবন্ধন করেছেন আট কোটি ৪৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৩৪ জন।

এদের মধ্যে আট কোটি ২০ লাখ ৪২ হাজার ২৯ জন জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে, ১২ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৪ জন পাসপোর্টের মাধ্যমে এবং ১১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪১ জন জন্মনিবন্ধন দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH