শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যে নিয়মে চলবে - protidinislam.com | protidinislam.com |  
জাতীয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যে নিয়মে চলবে

  প্রতিনিধি ১১ জানুয়ারি ২০২২ , ১০:১১:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে কয়েকটি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করবে সরকার।

আরো পড়ুনঃ

স্কুলে নতুন যে বিষয় পড়ানো হবে, থাকছেনা প্রথম- তৃতীয় শ্রেণির পরীক্ষা

এগুলো মধ্যে আছে- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং আগের মতোই সীমিত পরিসরে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

পাশাপাশি বাড়ির কাজ, অ্যাসাইনমেন্ট এবং অনলাইন ও দূরশিক্ষণ (টিভি-বেতার) কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখলেও সার্বক্ষণিক করোনা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে।

এছাড়া সাত দিন পর (আগামী ১৬/১৭ জানুয়ারি) শিক্ষা বিভাগ ফের জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বসবে। পরিস্থিতির অবনতি হলে এবং অবস্থা বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত হতে পারে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাধারণ শিক্ষার্থীরা আগের মতো সবদিন স্কুল-কলেজে আসবে না। এছাড়া ক্যানসার ও ক্রনিক কিডনি রোগী এবং রিউম্যাটিক ও অ্যাজমা রোগীরও দৈনিক আসার প্রয়োজন নেই। তাদের বিষয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সদয়ভাবে বিবেচনা করবে।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

এ সময় তিনি প্রাসঙ্গিকক্রমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আগামী এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা, বই বিতরণ, নতুন শিক্ষাক্রম এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) শিক্ষক আন্দোলন নিয়েও কথা বলেন। এ সময় তিনি জানান, ‘আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করছি না।

আমরা আশা করছি, সবাই মিলে একসঙ্গে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অপ্রত্যাশিতভাবে হঠাৎ দেশে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে মার্চে এই পরিস্থিতি আসবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে এটা ঠিক যে, নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রনে’ বিশ্বের অনেক দেশ এখন পর্যুদস্ত।

আরো পড়ুনঃ

বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ

এসব বাস্তবতায় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকটি হয়েছে। কমিটি পরামর্শ এবং টিকাপ্রদান পরিস্থিতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কিছু ব্যবস্থা অনুসরণ করা হবে।

মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী ওই ব্যবস্থাগুলো হচ্ছে-৩১ মার্চের মধ্যে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সি স্কুল-কলেজ সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হবে।

কওমি মাদ্রাসার মতো প্রতিষ্ঠানে করোনার বাস্তবতায় প্রণীত বিধিবিধান বাস্তবায়নে ঘাটতি আছে। সেখানে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে কঠোর তদারকি করা হবে।

আরো পড়ুনঃ

এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১২ বছর কম বয়সি বা প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন নেই। তাই এই বয়সি শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া যাচ্ছে না।

তবে তাদের স্কুল আর শ্রেণিকক্ষের পাঠদান ব্যবস্থা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে। এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনার কারণে জটিলতা হয়নি বলে তারা রোববার রাতের বৈঠকে জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, যারা টিকা দেয়নি তারা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাবে না। এ সময়ে অনলাইন আর টেলিভিশনে ক্লাস করবে।

তাছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা আছে, ১২ জানুয়ারির পর থেকে টিকা ছাড়া কেউ স্কুলে যাবে না। সেটা প্রতিপালিত হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলার সময় এখনো আসেনি।

আগে বলেছি, বছরের মাঝামাঝি এসব পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। সব বিষয়ে হবে না আংশিক, সেটা সময়মতো জানানো হবে। শিক্ষার্থীরা এখন ক্লাস করে যাবে।

তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে পাঠ্যবই ধাপে ধাপে বিতরণ করা হচ্ছে।

না পৌঁছানোর কথা নয়। ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষাক্রম পাইলটিং হবে।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH