সকল সরকারি - বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয়ের জরুরি নির্দেশ - protidinislam.com | protidinislam.com |  
জাতীয়

সকল সরকারি – বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয়ের জরুরি নির্দেশ

  প্রতিনিধি ২২ জানুয়ারি ২০২৩ , ৪:৫৬:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্কঃ দেশের সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র‌্যাগিং প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়৷ এর আগে শিক্ষা সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং-র‌্যাগিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৩-এর খসড়া চূড়ান্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷

নীতিমালায় কোনো শিক্ষার্থীকে ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিকর বা বেদনাদায়ক এবং আক্রমণাত্মক ব্যবহার, ব্যঙ্গ করে নাম ধরে ডাকা, বদনাম করা, লাথি মারা, বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি করা, এমনকি অবহেলা বা এড়িয়ে চলে মানসিক চাপ দেওয়া বুলিং বা র‌্যাগিংয়ের পর্যায়ে পড়ে বলেও উল্লেখ করা হয়৷

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান সাক্ষরিত এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়৷

এতে বলা হয়, বুলিং বা র‌্যাগিং প্রতিরোধে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং-র‌্যাগিং প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে। এ কমিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং-র‌্যাগিং হয় কি না তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবে। পর্যবেক্ষণের জন্য Bullying/Ragging Logs তৈরি , প্রয়োজনে প্রশ্নমালা ব্যবহার করা হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং-র‌্যাগিং প্রতিরোধে অভিযোগে বক্স রাখার ব্যবস্থা করা এবং অভিযোগের গুরুত্ব অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিয়মিত সভায় মিলিত হয়ে বুলিং-র‌্যাগিং সংক্রান্ত মনিটরিং কার্যক্রম পর‌্যালোচনা করা হবে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা হবে। এ ক্ষেত্রে বুলিং/র‌্যাগিংকারী শিক্ষক অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর বিদ্যমান বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবে। বুলিং র‌্যাগিংকারী শিক্ষার্থী হলে এর ধরন ও গুরুত্ব অনুযায়ী এবং বিধিমালা অনুয়ায়ী বুলিং/র‌্যাগিংকারীকে সাময়িক ও স্থায়ী বহিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে এবং ঘটনার গুরুত্ব সাপেক্ষে প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণের ব্যবস্থা করবে।

প্রতি ছয়মাস অন্তত একবার প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এ বিষয় থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH