সব ছাত্রীর বিয়ে, কেউ দেয়নি দাখিল পরীক্ষা - protidinislam.com | protidinislam.com |  
জাতীয়

সব ছাত্রীর বিয়ে, কেউ দেয়নি দাখিল পরীক্ষা

  প্রতিনিধি ১৯ নভেম্বর ২০২১ , ১১:০০:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্কঃ নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় একটি মাদ্রাসার সব পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছেন।

আরো পড়ুনঃ

যেকারণে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী

গত ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে এ পর্যন্ত প্রতি গ্রুপে দুটি বিষয়ের অনুষ্ঠিত কোনো পরীক্ষায় বাগাতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসার এসব শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়নি।

গতকালের হাদিস শরীফ বিষয়ের পরীক্ষায়ও তারা অনুপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা প্রধান জানিয়েছেন, করোনা মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সব পরীক্ষার্থীর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় কেউ পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।

জানা গেছে, এ বছর বাগাতিপাড়া উপজেলার পেড়াবাড়িয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৫টি মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীরা দাখিল পরীক্ষা অংশ নিচ্ছে।

এসব মাদ্রাসার মোট ৯৮ জন শিক্ষার্থীর ওই কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা। কিন্তু প্রতিদিন কেন্দ্রে ৮৩ জন উপস্থিত হয়।

অনুপস্থিত ১৫ পরীক্ষার্থীর সবগুলোই বাগাতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। ওই মাদ্রাসা থেকে এ বছর মোট ১৫ শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা।

কিন্তু কেউই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। মাদ্রাসা সুপার ওই শিক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্রও সংগ্রহ করেছেন।

কেন্দ্র সচিব ইব্রাহিম হোসাইন জানান, তার কেন্দ্রের অধীনে ৫টি মাদ্রাসার ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র পেয়ে সংশ্লিষ্ট সুপারদের কাছে সবগুলো বিতরণ করা হয়।

সবশেষে বাগাতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসা সুপারকে ১৫ জন পরীক্ষার্থীর সবগুলোর প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছে। তবে পরীক্ষার্থী প্রতি ৩০০ টাকা কেন্দ্র ফি প্রদানের কথা থাকলেও ৪ হাজার ৫০০ টাকার পুরো ফি বকেয়া রেখে পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছিল।

এদিকে মানবিক গ্রুপের আল কোরআন এবং হাদিস শরীফ দুটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ওই মাদ্রাসা থেকে কেউ অংশ নেয়নি।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু লাভ হয়নি।

এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসা সুপার আব্দুর রউফ জানান, চলতি বছরে তার মাদ্রাসা থেকে ১৫ জন ছাত্রীরই পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিলো।

কিন্তু করোনা মহামারিতে সব ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় কেউই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।

তবে প্রবেশ পত্র পেয়ে এসব পরীক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি তিনি গিয়ে ছাত্রীর পরীক্ষায় অংশ নিতে বলেছিলেন। কিন্তু কেউ তাতে সাড়া দেয়নি।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH