সাপ হয়ে ফিরে এলেন বৃদ্ধা! চট্টগ্রামে তুলকালাম - protidinislam.com | protidinislam.com |  
country-news

সাপ হয়ে ফিরে এলেন বৃদ্ধা! চট্টগ্রামে তুলকালাম

  প্রতিনিধি ১৪ জানুয়ারি ২০২২ , ৮:২৩:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

চট্রগ্রাম ব্যুরোঃ চট্টগ্রাম নগরীর বিশ্ব কলোনির এক বৃদ্ধা মৃত্যুর পর সাপের বেশে ফিরে এসেছেন!

আরো পড়ুনঃ

দেশে আরও ৪৩৭৮ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ৬

এমন গুজব আর গুঞ্জনে তুলকালাম চলছে ওই এলাকায়। মৃত বৃদ্ধার আত্মা ভেবে অনেকেই সাপটিকে খাওয়াচ্ছে দুধ-কলা।

জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর ভোররাতে চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকার বিশ্ব কলোনিতে নিজের বাসায় আগুনে পুড়ে মারা যান বৃদ্ধা রেজিয়া আক্তার।

প্রতিবেশীর কাছে তিনি ‘কাউয়ার মা’ নামে পরিচিত। তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে আগুন থেকে বের করা গেলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

এদিকে তাকে নিয়ে এমন ঘটনাকে ধর্মীয় গোঁড়ামি বলছেন অনেকেই। তবে একটি শ্রেণি বিশেষ উদ্দেশে এটি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

লোকমুখে রটে গেছে, এটি সাপ নয়। পুড়ে মারা যাওয়া বৃদ্ধা রেজিয়া আক্তারের আত্মা। কারণ তিনি ধার্মিক ও দরবারের ভক্ত ছিলেন।

তাই আল্লাহর উছিলায় ও কুদরতে সাপ হয়ে ফিরে এসেছেন মানুষের মাঝে।

সাপকে ঘিরে জ্বালানো হচ্ছে মোমবাতি আর আগরবাতি। অনেকেই যত্ন করে খাওয়াচ্ছেন দুধ-কলা। সাপটিকে নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুজব আর গুঞ্জন। এটাকে অলৌকিক বলছেন অনেকেই।

বিষহীন জল ডোরা সাপটি দেখতে প্রতিদিন চট্টগ্রামের বিশ্ব কলোনিতে বৃদ্ধার পোড়া বাড়িতে ভিড় করছে শত শত উৎসুক ও কৌতূহলি মানুষ। বারবার তাড়ানোর পরও এক সপ্তাহ ধরে যায়নি সাপটি। তাই রহস্য আর কৌতূহলের শেষ নেই মানুষের মাঝে।

পুরো এলাকা গুজব রটে গেলেও ক্ষুব্ধ কিছু এলাকাবাসী। তারা বলছেন, এটা ধর্মীয় গোঁড়ামি। ইসলাম ধর্ম এ ধরণের ঘটনা সমর্থন করে না।

শীতের ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে পাশের পানা পুকুর থেকে ডাঙায় উঠে এসেছে সাপটি।

এলাকাবাসী বলছেন, এটি জল ডোরা সাপ। সাধারণত বিষহীন এ সাপটি পুকুরে থাকে।

শীতকালে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে মাঝে মধ্যে ডাঙায় উঠে আসে। এটাও ডাঙায় উঠে আসা সাপ।

কলোনির বাসিন্দারা বলেন, মৃত মহিলা দরবার শরীফের ভক্ত ও পীর কামেল টাইপের মানুষ ছিলেন।

সাপটি যেহেতু কোথাও যাচ্ছে না, তাই আমরা একে যত্ন করে লালন করছি।

এটা কি সাপ জানতে চাইলে তারা বলেন, গতকাল কয়েকজন বেদে এসে নিশ্চিত করেছে এটা জল ডোরা সাপ।

স্থানীয় এলাকাবাসীদের কেউ কেউ মনে করেন, রেলওয়ের জায়গায় গড়ে উঠা এ কলোনিটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতো মৃত রেজিয়া।

সেই মারা যাবার পর অনেকের চোখ পড়েছে জায়গার দিকে। হয়তো বা এদের কোনো ফন্দিও হতে পারে।

কলোনি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে আকবরশাহ শাপলা আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী বৃদ্ধার কন্যা পিংকি আক্তার বলেন, সাপটি আমিও দেখতে গিয়েছি।

আমার মা হঠাৎ করে মারা গেল এবং এরপর এ ঘটনা। হয়তো আল্লাহর কোন খুদরতিও হতে পারে।

ENGLISH