হালাল ব্যবসার' কথা বলে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ স্কুলশিক্ষিকার! - protidinislam.com | protidinislam.com |  
অপরাধ

হালাল ব্যবসার’ কথা বলে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ স্কুলশিক্ষিকার!

  প্রতিনিধি ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৬:১৯:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্কঃ পাবনায় হালাল উপার্জনের প্রলোভন দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এক স্কুলশিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আরো পড়ুনঃ

চাচ্ছিতো অধিকার, চাইনাতো অনুদান ! নন-এমপিওদের উদাত্ত আহবান।।

অবশেষে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে মুখ খুললেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত ওই নারীকে আদালতে সোপর্দ করলে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার মোছা. সীমা আক্তার পাবনা শহরের আটুয়া হাউজ পাড়া মহল্লার মৃত হানিফুল ইসলামের স্ত্রী এবং পাবনা পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার সহকারী শিক্ষিক। গ্রেপ্তারের পর তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাতে শহরের আটুয়া হাউজ পাড়ায় শিক্ষিকা মোছা. সীমা আক্তারের বাড়ি অবরোধ করে ভুক্তভোগীরা। পরে বিক্ষোভের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষিকাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

তিনি হালাল উপার্জনের প্রলোভন দিয়ে সাধারণ মানুষদের কাছে থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।

পরে রাতেই ভুক্তভোগীদের পক্ষে মোছা. মাবেলা পারভিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বাদী মাবেলা পারভিন তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।

জিয়াউল করিম সুমন নামে একজন ভুক্তভোগী জানান, শিক্ষিকা মোছা. সীমা আক্তার সাধারণ মানুষদের ইসলামী শরিয়া মোতাবেক গরুর খামারসহ নানা ধরনের হালাল উপার্জনের কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

জানা গেছে, ওই নারীর কাছে অর্থ দিয়ে অনেকেই এখন সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন। তার ব্যবসায়ীর বৈধ কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

তিনি একজনের কাছে থেকে অর্থ নিয়ে আরেক জনকে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। প্রতারণার স্বীকার সাধারণ মানুষ তাদের অর্থ ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।

অভিযুক্ত মোছা. সীমা আক্তার বলেন, ‘আমার কোনো বৈধ ব্যবসা নাই। একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আরেকজনকে দিয়েছি। যারা টাকা দিয়েছে তাদের সুদে অনেক টাকা লাভ দিয়েছি।

আমি কারো টাকা আত্মসাৎ করি নাই। মানুষ না জেনে না বুঝে আমাকে কেন টাকা দিয়েছে, তাদের প্রশ্ন করুন। সম্প্রতি যারা আমাকে টাকা দিয়েছে তাদের টাকার একটি হিসাব করেছি।

সেখানে প্রায় তিন কোটি টাকার মতো হবে। সেই সকল টাকা আমি দিয়ে দেব। আর যারা সুদে লাভের টাকা নিয়েছে তাদেরটা দেব না। আর আমাকে কেন স্কুল থেকে বহিষ্কার করেছে সেটি স্কুল কর্তৃপক্ষ জানে। আমি ব্যক্তিগত কাজে বাইরে ছিলাম। জেলা পুলিশ আমাকে আসতে বলেছে, আমি এসেছি।’

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। এই ধরনের অভিযোগের কারণে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

প্রতারণার বিষয়ে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH