প্রতিনিধি ১৯ জানুয়ারি ২০২২ , ৭:০২:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
ইসলাম ডেস্কঃ ইসলাম পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখেই ৩৮ হাজার জনকে নিয়োগের লক্ষ্যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরো পড়ুনঃ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার জন্য নতুন করে যা করা হলো
শিগগিরই তাদের চূড়ান্ত সুপারিশের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
সবাইকে চূড়ান্ত সুপারিশ পত্র দেওয়া হবে জানিয়ে নিয়োগপ্রার্থীদের যোগদানপত্রের বিষয়ে ওবায়দুর রহমান বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট দিন তারিখ বলতে পারছি না।
তবে যেহেতু মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে আমরা কালক্ষেপণ করবো না। খুব শিগগিরই এ সংক্রান্ত নোটিশ জারি করা হবে।
চূড়ান্ত সুপারিশের পর নিয়োগপ্রার্থীদের এমপিওভুক্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু এটির মাউশির বিষয় এখনই এ বিষয়ে ক্লিয়ার কিছু বলতে পারছি না।
তবে জয়েন্ট করার পর এমপিওভুক্তির আবেদন করতে করতে দুই এক মাস সময় চলে যায়। আমরা আশা করছি, তার আগেই সব ভেরিফিকেশনের রিপোর্ট পেয়ে যাবো। এতে নিশ্চিত শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারবেন।
এর আগে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-২ শাখা থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখেই ৩৮ হাজার জনকে নিয়োগের লক্ষ্যে এনটিআরসিএকে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এনটিআরসিএ কর্তৃক ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৩৮ হাজার ২৮৩ জন প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রম চলমান অবস্থায় নিম্নোক্ত শর্তে তাদের অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রদানের অনুমতি প্রদান করা হলো।
শর্তগুলো হলো:
নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া কোনো শিক্ষকের ব্যাপারে ভেরিফিকেশনে কোনো আপত্তি উত্থাপিত হলে অবিলম্বে সুপারিশপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশনে বিরূপ মন্তব্য পাওয়া গেলে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানাবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ।
ভেরিফিকেশনে যাদের বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য পাওয়া যাবে, তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জানাতে হবে।
এদিন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) ফৌজিয়া জাফরীন বলেছেন, কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগের পর যদি তার বিরুদ্ধে পুলিশ ভেরিফিকেশনে আপত্তিকর কিছু আসে, তবে তাদের নিয়োগ বাতিল হবে।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এনটিআরসিএকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ মার্চ শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ১৫ জুলাই প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশিত হয়। কিন্তু, গত ছয় মাসেও নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। বর্তমানে পুলিশ ভেরিফিকেশন চলছে।