প্রাথমিক শিক্ষার নতুন আইনে যে বিষয়টি যোগ করা হলো - protidinislam.com | protidinislam.com |  
আইন বিভাগ

প্রাথমিক শিক্ষার নতুন আইনে যে বিষয়টি যোগ করা হলো

  প্রতিনিধি ১৮ নভেম্বর ২০২১ , ১:১৬:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্কঃ প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা আইন-২০২১ খসড়া চূড়ান্ত করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট ৩৬ নাগরিক।

তারা বোর্ড গঠনের লক্ষ্যে এ আইনের প্রস্তাব কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিশিষ্টজনেরা।

এতে গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী স্বাক্ষর করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২১ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণীত জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) রাখা হয়নি- এটি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ নাগরিক সমাজের একটি অন্যতম প্রত্যাশিত বিষয় ছিল।

এমনকি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এ পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষাকে পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে ধরা হয়নি।

এর পরিবর্তে বলা হয়েছে, স্থানীয়ভাবে উপজেলা, পৌরসভা বা থানা পর্যায়ে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিশিষ্ট নাগরিকেরা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনাকে আমলে না নিয়ে এবং জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-কে পাশ কাটিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২১’ নামক একটি আইনের খসড়া তৈরি করে তার ওপর মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।

‘শিক্ষানীতি ২০১০’ ও ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’-এর নীতি ও অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২১ প্রণয়নের উদ্যোগ কেন নেওয়া হলো, তা আমাদের বোধগম্য নয়।

যেখানে করোনার কারণে গত শিক্ষা বছরে একটিও পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি, এমনকি এ বছরও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, সেখানে এই বোর্ড গঠনের প্রস্তাব কতটুকু যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত তা প্রশ্নসাপেক্ষ।

তারা বলেন, প্রস্তাবিত ‘প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২১’ আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাঁধে বইয়ের বোঝা বাড়াবে এবং করোনার মতো মহাবিপর্যয়ের পর অভিভাবকদের কোচিং ও গাইড বইয়ের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় বাড়াবে।

আমরা মন্ত্রণালয়কে এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এছাড়াও বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন-অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, সেলিনা হোসেন, রামেন্দু মজুমদার, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও অধ্যাপক এম এম আকাশ প্রমুখ।

গত ৭ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২১ এর খসড়া প্রণয়নের বিষয়টি জানানো হয়।

আরো পড়ুনঃ

শিক্ষা উপমন্ত্রী শিক্ষা কার্যক্রমে নতুন সিলেবাস নির্ধারণে জরুরি যে কথা জানালেন

ইসলাম ডেস্কঃ আগামী এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হবার পরপরই শিক্ষা কার্যক্রমের রূপরেখা, সিলেবাস, পাঠ্যসূচি নির্ধারণ করবো। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে পরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবো। তবে সেটা হবে ধাপে ধাপে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

Haque Milk Chocolate Digestive Biscuit
বুধবার (১৭ নভেম্বর) নেত্রকোনায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম এবং বিশ্ব বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ভূমি উন্নয়ন কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালীন আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে। এ সময়ে শিক্ষাঙ্গনে ছিল মারাত্মক প্রতিন্ধকতা। এ থেকে উত্তরনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ চলছে। পড়াশোনার যে ক্ষতি হয়েছে সেটা কিভবে মেটানো যায় সেজন্য আলাদা একটা পরিকল্পনা গ্রহন করা হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নেত্রকোনা শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি আমরা একাডেমিক বা পড়াশোনার দিকেই গুরুত্ব দেব সবচেয়ে বেশি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকউল্লা খানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস রাজুর বাজার করিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার সাহা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক সেলিম আহমদ, জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান, ল্যান্ড ডেভলাপার গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু, পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।

নেত্রকোনা শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি উন্নয়নসহ সার্বিক অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ২ হাজার ৬৩৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH