বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ায় নতুন দুয়ার খুলছে - protidinislam.com | protidinislam.com |  
আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ায় নতুন দুয়ার খুলছে

  প্রতিনিধি ৫ ডিসেম্বর ২০২১ , ৩:২০:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্কঃ মালয়েশিয়ার সিকিউরিটি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (পিআইকেএম) বিদেশি নিরাপত্তারক্ষী সংগ্রহের জন্য দ্বিতীয় উৎস দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে চিহ্নিত করেছে।

আরো পড়ুনঃ

‘নির্বাচনের কফিনে গণতন্ত্রকে বার বার লাশ বানানো হয়েছে’

ফলে শ্রম নিয়োজনে বাংলাদেশের জন্য হতে যাচ্ছে আরেকটি নতুন সংযোজন।

এ লক্ষ্যে শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানী কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পিআইকেএম ও বাংলাদেশের সেনা কল্যাণ সংস্থার সঙ্গে একটি কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সারোয়ারের প্রত্যক্ষদর্শীতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমডোর মোস্তাক আহমেদ।

সেনা কল্যাণ সংস্থার একটি অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়েছে যা বিদেশে শ্রম নিযুক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে বলে জানা গেছে।

মালয়েশিয়ার স্থানীয় একটি সংবাদ সংস্থাকে পিআইকেএম সভাপতি রামলি ইউসুফ বলেন, সেনাকল্যাণ সংস্থা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি প্রতিষ্ঠান।

মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশে ভবিষ্যত নিরাপত্তা রক্ষী পাঠানোর লক্ষ্যে চিহ্নিতকরণ ও প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে প্রথম স্বাক্ষরিত চুক্তির মেয়াদ শেষে আবার নবায়ন করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি বাংলাদেশ, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া থেকে সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

পিকেআইএম থেকে শুধুমাত্র বাংলাদেশের সুপারিশ করেছি কারণ আমরা সেখানে ২০১৮ সালে প্রথম গিয়েছিলাম। সেই সময়ে আমরা তাদের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা (পিআইকেএম) তাদের ট্রেনিং স্কুল দেখতে গিয়েছিলাম, আমরা দেখেছিলাম যে তারা কীভাবে তিন মাস প্রশিক্ষণ পেয়েছে, আমরা অনুভব করেছি যে তারাই সেরা বিকল্প।

আমরা যে সর্বশেষ এমওইউ স্বাক্ষর করেছি তা শেষ হয়ে গেছে, তাই শুক্রবার আমরা বিদেশি কর্মী (সিকিউরিটি) আনার সাম্প্রতিক শর্তগুলো পুনর্নবীকরণ করেছি, যা সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

রামলি বলেন, মালয়েশিয়ায় প্রায় ৪০ গাহার নেপালি গার্ড ছিল। কিন্তু এখন ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজারের মধ্যে নেমে এসেছে।

তাই খালি কোটা পূরণ করার জন্য আমরা চাই সরকার বাংলাদেশি গার্ড আনার অনুমতি দিক।

দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলা এককভাবে নেপালিদের সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশিদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হলে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে মনে করেন দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিরা বিভিন্ন ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলেও সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির সুযোগ ছিল একমাত্র নেপালের।

কিন্তু দেশটির সরকার নিরাপত্তা সেবা খাতে শূন্যপদ পূরণের জন্য বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনকে নতুন সোর্স কান্ট্রি দেশ হিসেবে দেখার পরিকল্পনা করছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেনাকল্যাণ সংস্থা বাংলাদেশের অন্যতম প্রফেসনাল, দক্ষ ও বিশ্বস্ত একটি প্রতিষ্ঠান তারা যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে অভিবাসনের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা সংযোজন করবে।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH