যেকারণে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীর বেশির ভাগই প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের টাকা পাননি - protidinislam.com | protidinislam.com |  
অর্থনীতি

যেকারণে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীর বেশির ভাগই প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের টাকা পাননি

  প্রতিনিধি ১১ অক্টোবর ২০২১ , ৪:৩৪:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্কঃ কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবে আর্থিক সংকটে থাকা নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের গত ঈদুল ফিতরের আগে অনুদান প্রদানের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরো পড়ুনঃ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের সুখবর দিলেন সরকার

ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও’র আবেদন শুরু চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত

প্রত্যেক শিক্ষকের জন্য পাঁচ হাজার টাকা এবং প্রত্যেক কর্মচারীর জন্য আড়াই হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়, কিন্তু পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের টাকা পাননি বেশির ভাগ নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী।

এমনকি শিক্ষক-কর্মচারীদের নামে বরাদ্দকৃত টাকা তাঁদের হাতে পৌঁছে দিতে তেমন কোনো উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে না।

গত ১২ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, সারা দেশের সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক লাখ পাঁচ হাজার ৭৮৫ জন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার ৬১ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে।

এসব শিক্ষক ও কর্মচারীকে অনুদান দেওয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগকে প্রায় ৭৪ কোটি ৮১৭ টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রত্যেক নন-এমপিও শিক্ষক এককালীন অনুদান পাবেন পাঁচ হাজার টাকা এবং প্রত্যেক কর্মচারী পাবেন দুই হাজার ৫০০ টাকা করে।

জানা যায়, গত বছরও নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বিশেষ বরাদ্দ দেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় ইআইএনধারী (শিক্ষা বোর্ডের বৈধ প্রতিষ্ঠান শনাক্তকরণ নম্বর) নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশালসংখ্যক শিক্ষক কর্মচারীর হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেইস তৈরি করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ও শিক্ষা তথ্য ব্যুরো (ব্যানবেইস)।

এরপর তা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে চেকের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন তালিকাভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের হাতে তা পৌঁছে দেয়। ফলে তালিকায় নাম থাকাদের প্রায় সবাই টাকা পান।

তবে এবার মোবাইলব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা দেওয়াতেই বিপত্তি সৃষ্টি হয়।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সম্প্রতি কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের নামের সঙ্গে মোবাইল নম্বরের নামের মিল না থাকায় কিছু শিক্ষক-কর্মচারী এখনো টাকা পাননি।

শিক্ষকরা যে মোবাইল নম্বর দিয়েছেন তাতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানো হচ্ছে অন্যজনের।

এসব জটিলতা নিরসন করে দ্রুত শিক্ষক-কর্মচারীদের টাকা পাঠাতে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছি। আশা করছি, শিগগিরই এর সমাধান হবে।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH