সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা প্রভাবশালী ইসলামী চিন্তাবিদের ইন্তেকাল - protidinislam.com | protidinislam.com |  
আন্তর্জাতিক

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা প্রভাবশালী ইসলামী চিন্তাবিদের ইন্তেকাল

  প্রতিনিধি ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ , ১:০৯:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্কঃ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ইসলামী চিন্তাবিদ ড. ফারুক আবদুল হক (রবার্ট ডিকসন ক্রেন) ইন্তেকাল করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জাানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর তিনি মারা গিয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৯২ বছর।

ড. ফারুক যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজের ম্যাসাচুসেটস জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮০ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং ফারুক আবদুল হক নাম ধারণ করেন।

তিনি ছিলেন ‘হার্ভার্ড সোসাইটি অব ইন্টারন্যাশনাল ল’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সাবেক উপ-পরিচালক ও যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ।

তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ফারুক আবদুল হক বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক আইনি ব্যবস্থায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন ‘হার্ভার্ড জার্নাল ফর ইন্টারন্যাশনাল ল’ প্রতিষ্ঠা করেন। ‘হার্ভার্ড সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল ল’-এর প্রথম সভাপতি তিনি।

ওয়াশিংটনে অবস্থিত মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ অ্যাডভাইজারি সেন্টারে তিনি প্রায় এক দশক ধরে কর্মরত ছিল।

১৯৬১ সালে আন্তর্জাতিক স্ট্র্যাটেজিক গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৩-৬৮ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন।

১৯৬৯ সালে প্রেসিডেন্ট নিক্সন তাঁকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপ-পরিচালক নিযুক্ত করেন। প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ১৯৮১ সালে তাঁকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেন।

প্রেসিডেন্ট নিক্সনের নির্দেশে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ‘ইসলামী মৌলবাদ’ ও ইসলাম বিষয়ক একটি দীর্ঘ প্রতিবেদন তৈরি করে। কিন্তু প্রেসিডেন্টের সময়ের অভাবে তিনি রবার্ট ক্রেনকে এ প্রতিবেদন সংক্ষিপ্ত করার দায়িত্ব দেন।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে তিনি অভিভূত হয়ে পড়েন। ইসলাম সম্পর্কে তাদের মূল্যায়ন তাঁকে মুগ্ধ করে। এভাবে ইসলামের প্রতি তাঁর প্রাথমিক আকর্ষণ ও মুগ্ধতার শুরু।

১৯৮০ সাল থেকে সরকারের নির্দেশে তিনি বিভিন্ন ইসলামী সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন মুসলিম স্কলার ও ধর্মপ্রচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেন।

তাঁদের মধ্যে সুদানের প্রখ্যাত মুসলিম পণ্ডিত ড. হাসান তুরাবি অন্যতম। এছাড়াও ফরাসি দার্শনিক ও কমিউনিস্ট লেখক পরবর্তীতে মুসলিম চিন্তাবিদ ড. রোজার গারাউডিও ব্যক্তিত্ব ও গভীর পাণ্ডিত্বে তিনি প্রভাবিত হন।

ড. ফারুক অর্ধশতাধিক গ্রন্থ রচনা করেন। ২০২০ সালে ড. ক্রেন বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকার মধ্যে ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH