গণতন্ত্র রক্ষার মহারণ - protidinislam.com | protidinislam.com |  
জাতীয়

গণতন্ত্র রক্ষার মহারণ

  প্রতিনিধি ২৮ অক্টোবর ২০২৩ , ১২:৩২:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

রাজধানীর ১৫ স্পটে ৩৮টি দলের সমাবেশ আজ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নিজেদের জনসমর্থন ও সাংগঠনিক শক্তি রাজপথে প্রদর্শনের মহড়া ৩৭টি দল নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ
আর সংবিধান রক্ষার নামে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন চায় একটি দল।

‘খেলা হবে’ শব্দটি বহুদিন থেকে দেশের রাজনীতিতে উচ্চারিত হচ্ছে। অবশেষে আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের খেলা শুরু হচ্ছে আজ। এ খেলা নির্বাচনে ভোটের খেলা নয়। নির্বাচন কোনো ধরনের সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে সেটা চূড়ান্ত করতেই রাজপথে এই খেলা। এই খেলায় চূড়ান্ত হবে জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পাবে নাকি বিগত দু’টি জাতীয় নির্বাচনের মতো ‘ছকে বাঁধা’ পাতানো নির্বাচনের মতো আবারও প্রহসন হবে। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপি এই মহাসমাবেশকে ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মহাযাত্রা’ হিসেবে অবিহিত করলেও আওয়ামী লীগ নেতারা ‘শান্তি সমাবেশে’ লাঠি, লগি-বৈঠা নিয়ে রাজপথে নামার ঘোষণা দেয়ায় সংঘাত সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্ল
ধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় রাজধানী ঢাকায় রাজনীতির মহারণ ঘটতে যাচ্ছে। ৩৮টি রাজনৈতিক দল ঢাকার ১৫টি স্পটে আজ মহাসমাবেশ করবে। এর মধ্যে বিএনপিসহ ৩৭টি রাজনৈতিক দল মানুষের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ১৪ স্পটে সমাবেশ করবে। আর মাত্র একটি দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধানের দোহাই দিয়ে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ‘নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন’ ধারা অব্যাহত রাখতে এক স্পটে মহাসমাবেশ করবে। জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ে ঢাকার রাজপথের এমন উত্তাল দৃশ্য মানুষ বহু বছর দেখেনি। এর আগে ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের পর, ২০০৬ সালে এমন দৃশ্য দেখেছে রাজধানীবাসী। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ প্রভাবশালী দেশগুলো আজকের সমাবেশের প্রতি কড়া নজর রাখছে। দেশ-বিদেশের মানুষও তাকিয়ে আছে ঢাকার দিকে বিএনপির গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় কি ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর। বিএনপির সমাবেশে আসতে বাধা দেয়া হবে না দাবি করলেও গত দু’দিন ধরে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বাসিয়ে তল্লাসি চালানো হচ্ছে। সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে প্রচ- ভিড় দেখা গেছে। বিএনপির সমাবেশে আসতে পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর তাদের স্বজনরা জামিনের জন্য আদালতে ভিড় করেন। সমাবেশে আসার পথে ৩৩৪ জন নেতাকে গ্রেফতার করে গতকাল আদালতের মাধ্যমে ২২৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারপরও বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢাকামুখি শ্রোত ঠেকানো যায়নি। নানা পন্থায় রোগী সেজে, শ্রমিক সেজে বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে নানা যানবাহনে সারাদেশ থেকে বিএনপির লাখো নেতাকর্মী ঢাকায় প্রবেশ করেছে।

২৮ অক্টোবর এই প্রথম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপির নির্ধারিত যায়গায় সমাবেশ করতে দিতে বাধ্য হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় ডিএমপি সদর দফতরে নিজের কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) ড. খ. মহিদ উদ্দিন জানান, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর বিএনপিকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপিকে রাজপথে সমাবেশ করতে দেবে না বলে জানিয়েছিল এবং সমাবেশ করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছিল। এর আগে গত ১৪ বছরে বিএনপি যেখানেই মহাসমাবেশ করার আবেদন করেছে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘেœর অজুহাতে’ সেখানের বদলে অন্যত্র সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। বিএনপির সমাবেশ পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে সমাবেশ স্থলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৬০টি সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের সমাবেশ স্থলে এমন সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে কিনা জানা যায়নি। তবে দীর্ঘ ১৪ বছরে এই প্রথম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অভিযোগ তুলেছেন, পুলিশ গতকাল বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটের সমাবেশ স্থলে আগাম মঞ্চ তৈরিতে বাধা দিয়েছিল; পরে মঞ্চ তৈরি করা হয়।

বিএনপি কার্যত গত ১৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয়। এই মহাসমাবেশের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে রাজধানী ঢাকার মোড়ে মোড়ে এবং অলিগলিতে পাহারা বসানোর ঘোষণা এবং লাঠি ও লগি-বৈঠা নিয়ে মাটে নামার ঘোষণা দেন ওবায়দুল কাদের। তবে গতকাল তিনি বলেছেন, শনিবার শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দেখিয়ে দিতে চায় তারা অশান্তির বিরুদ্ধে। দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক পাহারায় থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে অশুভ খেলার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে চায় বিএনপি। এজন্য সতর্কতা প্রয়োজন। যেকোনো উপায়ে সহিংসতা প্রতিহত করতে হবে। অন্যদিকে নয়াপল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এক দফা দাবি আদায়ে শনিবারের মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। সরকারের পক্ষ থেকে বাড়াবাড়ি করলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে। রাষ্ট্রের সব সমস্যার মূলে নির্বাচন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। সেই সরকার স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। শুধুমাত্র সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। আর এসব দাবি আদায়ে শনিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেই মহাসমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে। আশা করছি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করবে।

১৫ স্পটে সমাবেশ : ‘এক-দফা’ দাবি তথা শেখ হাসিনাসহ সরকারের পদত্যাগ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নয়া পল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে ‘মহা-সমাবেশ’ করবে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংবিধান অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে এবং বিএনপির আন্দোলন প্রতিহত করতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটে মহাসমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গত এক যুগে সরকারের জুলুম নির্যাতনের সুনামিতে বিধ্বস্ত জামায়াত সমাবেশ করবে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে। জাতায়ামের ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমান ঘোষণা দিয়েছেন যে কোনো মূল্যেই ঢাকায় সমাবেশ করা হবে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে জানানো হয়েছে জামায়াতকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। এছাড়াও বিএনপির দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেস ক্লাব সামনে, ১২ দলীয় জোট বিজয় নগর পানির ট্যাংক মোড়, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, পুরানা পল্টন আলরাজী কমপ্লেক্স সামনে গণ ফোরাম ও পিপলস পার্টি মতিঝিল নটরডেম কলেজ উল্টো দিকে গণফোরাম চত্বর, এলডিপি কাওরান বাজার এফডিসি সংলগ্ন এলডিপি অফিস সামনে, গণ অধিকার পরিষদ বিজয় নগর পানির ট্যাংক মোড়, এনডিএম মালিবাগ মোড়, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, গণ অধিকার পরিষদ (ডক্টর রেজা কিবরিয়া ও ফারুক হাসান) পুরানা পল্টন কালভার্ট, লেবার পার্টি পুরানা পল্টন মোড়, এবি পার্টি বিজয়নগর হোটেল ৭১ সামনে (বিজয় ৭১), জনতার অধিকার পার্টি, বিজয় নগর পানির ট্যাংক মোড়, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এবং জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমবেশ করবে।
বিএনপির সমাবেশস্থলে ভিড় : আজকের মহাসমাবেশের একদিন আগেই পল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছে সারাদেশ থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুলিশ বাধা দিতে পারে সে আশঙ্কায় সারাদেশ থেকে নানা কৌশলে ঢাকায় আগে পৌঁছানো নেতাকর্মীদের পল্টন এলাকায় উপস্থিতি বাড়ছে। এতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গতকাল সরেজমিনে নয়া পল্টনের বিএনপির পার্টি অফিসের সামনে দেখা যায়, বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছেন। এ সময় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সেøাগান দিতে দেখা যায়। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পুরো এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এসব নেতাকর্মীদের অনেকে পায়ে হাঁটার পাশাপাশি রিকশা ভাড়া করে মিছিল করছেন। নেতাকর্মীদের ভিড়ে পার্টি অফিসের এক পাশের রাস্তার প্রায় অর্ধেক ব্লক হয়ে যায়। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্বে থাকা লোকজন মাইকিং করে নেতাকর্মীদের রাস্তার একপাশ ছেড়ে দিতে বলেন। নেতাকর্মীদের ভিড় সামাল দিতে স্বেচ্ছাসেবকদের কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। পাশাপাশি সমাবেশের দিন কি হতে পারে এর বিভিন্ন দিক নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন আলোচনা হচ্ছে। মাদারীপুর শিবচর থানা থেকে বিএনপি মহাসমাবেশে যোগ দিতে গতকাল শুক্রবার ঢাকা এসে পৌঁছেছেন এমরান হোসেন নামের এক বিএনপি কর্মী। ঢাকায় ঢুকে পার্টি অফিসের সামনে চলে আসেন তিনি মহাসমাবেশের প্রস্তুতি দেখতে। ঢাকায় প্রবেশের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তল্লাশির মুখেও পড়েন বলে জানালেন এ বিএনপি কর্মী। তবে কৌশলে তাদের এড়িয়ে যান। কুড়িগ্রাম থেকে হোসেন আহমদ ঢাকায় সমাবেশে এসেছেন। তিনি জানান, ৬ বন্ধু একসঙ্গে বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসে আতœীয়ের বাসায় ছিলেন। তাদের পুলিশি চেকপোস্টে পড়তে না হলেও তাদের উপজেলার কয়েকজন কর্মী পুলিশি চেকপোস্টে পড়েছেন এবং তাদের দু’জনকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। সমাবেশের আগের দিন পার্টি অফিসের সামনে জড়ো হচ্ছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনি থেকে আসা বিএনপি কর্মী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, সমাবেশের দিন পার্টি অফিসের সামনে আসতে নানা ধরনের বাধার মুখে পড়তে হতে পারে। সেজন্য আগে থেকেই এই ধরনের ঝামেলা এড়াতে এখনই পার্টি অফিসের সামনে এসেছি। ঢাকায় আসার সময় বাসে পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়তে হয়েছিল। ঢাকায় কাজ আছে, পুলিশকে এমন বলে কোনোমতে সেখান থেকে এসেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পল্টন এলাকায় সতর্ক অবস্থানে থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নজরদারি করছে। বিএনপি অফিসে ঢোকার পথে নাইটিঙ্গেল মোড়ে এবং ফকিরাপুল মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট লক্ষ্য করা গেছে। একই সঙ্গে বিএনপির পার্টি অফিসের দুই পাশে পুলিশের সতর্ক অবস্থানও রয়েছে যাতে করে আইনশৃঙ্খলার কোনো ধরনের অবনতি না ঘটে।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিএনপির মহাসমাবেশে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নেই। আমরা সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) একটি বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এতে বিভিন্ন ধরনের টহল, চেকপোস্ট বসানো, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিএনপি কার্যালয়ের আশপাশে ৬০ টির বেশি সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

আ.লীগের সমাবেশস্থল : ২৮ অক্টোবর পূর্বঘোষিত আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গতকাল সন্ধ্যায় নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। ঢাকার বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে এখানে এসে জড়ো হচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় অন্তত ১৫ থেকে ২০টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীদের জড়ো হতে দেখা যায়। এরপর সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে মিছিল নিয়ে আসা নেতারা বলেন, শনিবারের শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতি কেমন দেখতে অফিসে এসেছি। তাছাড়া আমরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় পার্টি অফিসে আসি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমরা অবস্থান নিয়েছি। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর পরিবেশ প্রতিরোধে অতন্দ্র পাহারায় আছি আমরা।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা তাতী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ খান নূরে খোদা মঞ্জু গণমাধ্যমকে বলেন, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ সফল করা এবং বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকা- প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের নিয়ে আজকেই আমরা পার্টি অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছি।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH