মা বিহীন বাড়ী যেমনঃ ইঞ্জিন বিহীন গাড়ী - protidinislam.com | protidinislam.com |  
সাহিত্য

মা বিহীন বাড়ী যেমনঃ ইঞ্জিন বিহীন গাড়ী

  প্রতিনিধি ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ , ১:১৯:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

এম এ সাইদ(তন্ময়): কেমন আছো তুমি? কতদিন,তোমাকে দেখিনা, কত দিন তোমার কন্ঠ শুনিনা, কত দিন কোনও স্পর্শ নেই তোমার!!! #তুমি_ছিলে_কখনো_বুঝিনি_ছিলে।
ভেবেছিলাম যেন তুমি থাকবেই,যতদিন আমি থাকি ততদিন – যেন এরকমই কথা ছিল। কেন তুমি আমাদের একা ফেলে চলে গেলে #মা?

মা , আমার মনে হয় তুমি আগের মত গ্রামের বাড়িতেই আছ । আমি গেলেই তোমাকে পাব ।
আর যখন দেশে/গ্রামে যাই তখন সব চাচী খালাদের মুখের ভীড়ে তোমার চাঁদ মুখটা না দখে আমার কলিজা চিন চিন করে।
করা ব্যাথা নিয়ে বিলের মাঝখনে কবরস্থান এ ছুটে যাই । যেখানে আমাকে ছোট বেলায় যেতে দিতে না সেই নিঝুম নিরালায় তুমি কিভাবে এখন একা একা শুয়ে থাক । এমন জায়গায় আছ তুমি যেখানে টেলিফোন করা যায় না , টেলিগ্রাম পাঠান যায় না , চিঠি নিয়ে পিয়ন যায় না । বল মা কিভাবে মনের কথা গুলো তোমাকে পৌছাব ? মা
তুমি বড্ড অভিমানী । তোমাকে কবরে শুয়ানোর পর তাই আমি যে তোমার কবরের পাশে তোমাকে না পাওয়া ব্যাথায় হৃদয় ফাটা আত্নচিতকারে আমার চোখের জলে দু গাল ভাসিয়ে ফেলি তাও তুমি সারা দাও নাই ।আর আমারও কান্না ফুরায় না । বল মা , তুমি ছাড়া কে দিবে আমায় সান্তনা । চাচিরা অনেক আদর করে ।কিন্তু ভাতের ক্ষুদা কি চিড়া মুড়ি দিইয়ে ফুরায় মা।তুমিইত বলতে! তুমি কি তা বুঝনা ।

মা! তোমার ফেরার অপেক্ষায় আর কত নির্ঘুম রাত কাটাব?
মা! তোমার হাতের রান্না খাব বলে আর কত দিন থাকব?
মা! তুমিনা বলেছিলে আমাকে একা ছেড়ে কোথাও যাবেনা;
কিন্তু আজ! কেন তুমি কথা রাখনি “মা”?
মা! আমাকে কেউ আঘাত করলে তুমিনা অশ্রুবাণে প্লাবিত হতে?
মা! রাত করে বাড়ী ফিরে যখন চুপি চুপি তোমায়
ডাকতাম, তুমি কি খুব বিরক্ত হতে?
মা! তুমি না আমার অসুখ হলে রাত জেগে আল্লাহর কাছে আরোগ্যপ্রাপ্তির দোয়া করতে?

মা! পরপারে তুমি কেমন আছো….?
মা! আল্লাহর কাছে তোমার জন্য নাজাতের দোয়া করি,তোমার জন্য চির প্রশান্তির জান্নাত কামণা করি,কবরের কঠিন আযাব হতে পানাহ চাই,আল্লাহর রহমতের অবারিত ধারা বর্ষিত হোক তোমার বিদেহী আত্মার উপর।
“রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানির ছাগিরা”

মা,তুমিতো মরে গিয়ে বেচেঁ গেছো। আমি বেচেঁও মরে আছি!!! আমি দিনে দিনে একা হয়ে যাচ্ছি।
সুসময়ের ভালোবাসাকে ছেড়ে অসময়ে চলে গেলে ।প্রিয় আম্মা আমার! আজ আপনি আমার ধরা-ছোয়ার বাইরে। কিন্তু আপনার সেই ছবি আমার স্মৃতিপটে অম্লান। আপনার স্মৃতি আজো আমার স্মৃতিতে অম্লান।
মা,তোমার প্রস্থান আমাকে প্রতিনিয়ত কাঁদায়।তোমার চলে যাওয়ার সেই কঠিন মহুর্তগলো
এখনও আমাকে দিন রাত তাড়া করে বেড়ায়।
তোমার অভাব যে,ভুলতে পারি না,আর তাইত ছুটে যাই তোমার কবরের পাশে তোমার স্পর্শ নিতে।
মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে বিনীত প্রার্থনা করতে পারাও আমাদের জীবনের একটা প্রাপ্তি! যিনি এই বিশ্বজগতের মালিক, তিনি যেন আমাদের করুণাধারায় সিক্ত করে আপনাকে এবং আমাদের মুক্তি পাওয়া বান্দাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করে নেন। আমিন।

‘মা’ তুমি এমন একটা জিনিস কবরের মাটিও তোমার মমতা লুকিয়ে রাখতে পারেনা। যার মা নাই সে কবরে গিয়ে দেখেন, সে মাটিও ভেজা। মা যেন চিৎকার করে বলছে – বাবা তুই এত শুকায়ছিস কেন?

‘মা’ কে ভালবাসুন প্রতিটা নারীকে সম্মান করুন। যে নারীর পেটে স্বর্গ` পায়ে স্বর্গ` সে নারীকে মসজিদের মত পবিত্র রাখুন।

পৃথিবীতে সন্তানের সবচেয়ে #আপন এবং সবচেয়ে #কল্যাণকামী বাবা এবং মা। সারা পৃথিবীর সবাই যদি অকল্যাণ কামনা করে তখনও মায়ের কাছে তার সন্তানই সঠিক এবং “আমার সন্তানই সবার #সেরা”। আমার মতো হতভাগাদের মতো যাদের #মা নেই একমাত্র সেই
বুঝতে পারে #মায়ের_আদেশ_উপদেশ_শাসন আর
#ভালোবাসার পরশ কতোটা গুরুত্বপূর্ণ আর জীবন তরি বাইতে গিয়ে প্রতিটি ঢেউ এ ঢেউ এ কিভাবে সে তা মিস করে থাকে। জীবনের একটি কঠিন সময়ে #প্রতিটি মুহূর্ত মিস করছি মা তোমাকে অনেক মিস করছি। **ইয়া রাব্বুল আলআমিন তুমি আমার মরহুমা মাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান ‘#জান্নাতুল_ফেরদাউস’ দান কর।

মা হারানোর বেদনা জীবদ্দশায় পৃথিবীতে
সবচেয়ে কঠিন একটা অধ্যায়। এই বেদনা ঠিক ভাষায়অনুবাদ করা যায় না। শব্দে আটকানো যায় না। মুখে বলাওযায় না, কেমন ব্যথাতুর সেই কষ্ট। মাকে খুব মনে পড়ে। যাদের মা নেই, তাদের পৃথিবী সত্যিসত্যি অন্যরকম। যাদের মা আছে সেই কষ্ট তারা বুঝতেঠিক পারবে না। বোঝানো সম্ভবও নয়। জীবনের সকলদুঃখ-আনন্দ একসাথে যাকে বলা যেতো, সে ছিল আমার
মা। মায়ের চেয়ে বড় বন্ধু পৃথিবীতে নাই। যারা মাহারিয়েছে তাদের চেয়ে অভাগা আর কে হতে পারে!২০১৫ সালের ৮ ই জুন আমি মাকে হারাই। মাকেহারানোর সেই বেদনা আজো সমান ভাবে বুকের গহীনে বাজে। নিরন্তর সেই বোবা কষ্ট আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। আল্লাহ্‌ মাকে ভালো রাখুক!

‘#মায়ের_মুখটা_ভুলতে_পারি_না’
জীবন চলার পথে কত ঘটনা, কত স্মৃতি! সব স্মৃতিই আনন্দের হয় না। এমন অনেক স্মৃতি থাকে, যেটা আমরা ভুলে যেতে চাই। কিন্তু সম্ভব না!
আমার জীবনে একটাই শুধু কষ্টের স্মৃতি আছে।এই
স্মৃতিটা সব সময় মন ব্যাকুল করে, আমাকে কাঁদায়। আমার মা শয্যাশায়ী। আস্তে আস্তে তাঁর অন্তিম সময়
ঘনিয়ে আসছে। শেষের দিকে মায়ের কাছে যেতে ভয় পেতাম। তাঁর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারতাম না। যেদিন মা মারা যান, সেদিন ও আমি নিজের হাতে খাইয়ে দিলাম! অনেক কথা হয়েছে,,, অনেক কথাই আমার বলার ছিলো ভেবেছিলাম, মা যখন সুস্থ হবেন তখন বলবো। কিন্তু তা আর হলো না। মা সেদিনই চিরতরে চোখ
বুজলেন আমার চোখের সামনেই! দিন যত বাড়তে থাকল, মায়ের সেই কষ্টমাখা মুখটি তত বেশি মনে পড়তে থাকল। আমি হঠাৎ হঠাৎ কেঁদে উঠি। মনে হয়
অপরাধী সন্তান হয়ে গেলাম যে মা এতকিছু দিয়ে গেলো আমরা তা সারথপরের মতো ভোগ করছি! এখন ভাবি,
আরেকবার যদি সুযোগ পেতাম! সাড়া জীবন মায়ের কাছাকাছি থাকতাম! মায়ের সমবয়সী কাউকে দেখলেই আমার মায়ের কথা মনে পড়ে। মায়ের চেহারা চোখে ভাসে। আর তখনই আমার হৃদয় ভেঙে কান্না আসে। জানি, মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত সেদিনের ব্যথা
ভুলতে পারব না। মায়ের সেই বিদায়ি দৃশ্যটা
আমি ভুলে থাকতে চাই। কিন্তু পারি না। চোখ
বুজলেই চোখে ভাসে মায়ের করুণ সেই মুখ। এই
যন্ত্রণা নিয়ে বাকি জীবন কাটাতে চাই।‘#মায়ের_মুখটা_ভুলতে_পারি_না’
আল্লাহ আমার মাকে বেহেশত নসিব করুন।

‘মা’ সে তো অনন্ত বিশ্বস্ততার এক জায়গা,,,,,
মা ছাড়া পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনো মানে মাঝে মাঝে খুঁজে পাই না। মাকে ছাড়া কিভাবে বেঁচে
আছি জানি না। আমাদের ছয় ভাইবোনের আনন্দঘন আলোকিত জীবন অন্ধকারে ছেয়ে গেছে। এ শোক সারা জীবন কিভাবে বয়ে বেড়াব তাও জানি না!!
আমাদের গ্রামের বাড়িটা আম্মাই আলোকিত করে রাখতেন। মায়ের হাতে সুন্দর করে সাজানো এই বাড়ি। মাকে নিয়ে আমরা বড় সুখে ছিলাম এখানে। সেই জন্ম থেকে। আজ প্রায় ১৫ ‘মাস হতে চলল আম্মা নেই। প্রতিটি জিনিসে তার ছোঁয়া; তার স্মৃতি। তার কণ্ঠ বাজে প্রতিটি ঘরের কোণে কোণে। শুনতে পাই এই বুঝি ডাকছেন নাম ধরে! সারা সংসার আজ তার অনুপস্থিতিতে খাঁ খাঁ করছে। হারিয়ে গেছে সেই সুখ; সেই বাঁধভাঙা আনন্দ। বড় নিঃস্ব- একা লাগে মাকে ছাড়া।তিনিই আমাদের শিখিয়েছেন পৃথিবীতে কিভাবে চলতে হয় । তিনি আমাদের শিক্ষাগুরু। প্রথম পাঠ গ্রহণ, হাঁটা- সবই আমাদের হয়েছে আম্মার হাত ধরে। সততা এবং সংযম, সে তো তার-ই দান। আজ যতটাই হয়েছি
তাও তারই অবদান। তিনি শুধু আমাদের অভিভাবকই নন, আমাদের পরম বন্ধু ছিলেন। সারাটা জীবন মা আমাদের অনেক দিয়েছেন। কিন্তু আমরা কি পেরেছি তার সামান্য শোধ করতে? পারিনি। ভালোবাসা ছাড়া আর তো মাকে দেয়া হয়নি কিছুই। একজন মা যা দেন সন্তানরা মনে হয় তার সামান্যও ফিরিয়ে দিতে পারে
না।,,,,আমরা কি কখনো ভেবেছিলাম হঠাৎ -মা এর অকাল মৃত্যুতে নিমেশেই থেমে যাবে আমাদের অতি আদরের জীবন? মাকে ছাড়া দূরে কোথাও গেলে অস্থির লাগতো,,, আর আজ?

মা আমার মা। এই কথা টি অনেক ছোট ।কিন্তু এর গভীরতা আর কিছুতেই নেই । এটা অনেক মধুর এক নাম আর সন্তানের জন্য এটা আল্লাহর সেরা উপহার ।যার সাথে তুলনীয় পৃথিবীতে আর কিছুই নাই । যে সব সময় সন্তান কে আগলে
রাখে বুকের মাঝে । নিরাপদে রাখতে ঝড়ায়ে রাখে আচলের তলে ।সন্তান মায়ের কাছে কখন বড় হয় না । বড় হয় সেই দিন যে দিন মা পৃথিবীর কোথায় থাকে না ।মা ছাড়া সন্তান বড় একা হয়ে যায় তাই হতাশার মাঝে আর সে আলো জ্বালাতে পারে না। মা নিজের হৃদয় টা পুড়ে পুড়ে প্রদীপের মত সন্তানের মাঝে আলো দান করে ।
একজন মা সন্তান কে এতই ভালবাসে যে , তাঁর নাড়ি চেড়া ধন ভাল থাকলে তখন সে মায়ের চোখে তন্দ্রা আসে । আর সন্তানের দুঃখ শুনলে সেই ব্যথায় ব্যাথিত হয়ে লজ্জাবতি পাতার মত দেহ ও মন টা অবসন্ন হয়ে ঝিমিয়ে পড়ে ।কারন এই পৃথিবীতে মায়ের মত নিঃস্বার্থ ভালবাসা আর কেউই দিতে পারে না । সবাই কর্ম দেখে ভালবাসে আর সেটা না থাকলে তার জন্য আর কারো ভালবাসা থাকে না । যেমন চাঁদ কে কেউ ভালবাসে না কিন্তু চাদের আলোকে সবাই ভালবাসে । মা , তুমি বিশ্বাস কর আমি এখন অনেক বড় হয়েছি । নিজের মনের হাজারো ব্যাথা , দুঃখ কষ্ট গুলো এখন নিজের মাঝেই লুকায়ে রাখতে পারি ।যত বড় ঝড় তুফান
বা সুনামিই আমার জীবনে আসুক না কেন সব সময় হাসি মুখে ঐ সব আমার আয়ত্তে আনতে চেষ্টা করি ।তখন মা তুমি শুধুই বলতে আমি তোমার রাগিলা ছেলে আমার প্রচুর রাগ ছিলো ।এখনো মা, আমার সরলতাকে আমার দুর্বলতা
মনে করে অনেকে আমাকে কষ্ট দেয়। তাও মা আমি আল্লাহর সাহায্যে সব হজম করে ফেলি ।

মা তুমি আমাকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছিলে,,,আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি মা ,, এখনো মা রাতে তোমাকে নিয়ে যখন সুখ স্বপ্ন দেখে মাঝ রাতে জেগে উঠি ।তখন সে ডাকটা বাজতে থাকে আমার হিয়ার মাঝে আর চোখের প্রতি ফোটা অশ্রু ফুল হয়ে ফুটে উঠে বুকের মাঝে ।তোমার ভালবাসা পেতে এই হৃদয়ে কি তৃষ্ণা জাগে । প্রশান্ত মহাসাগরেও সেই তৃষ্ণা মিটাতে পারবে না ।মিটবে তোমাকে বাহুতে ঝড়ায়ে তোমার কোলে শুয়ে থাকলে।
যেমন পূর্ণিমার চাঁদ আকাশের কোলে ঘুমায় ।আমি মা , সকাল সাজে মাঝ রাতে তোমার জন্য আমার প্রভু নিকট সাহায্য চেয়ে বলি হে আল্লাহ আমার মাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দিয়ে দাও।

মা , মা নিয়ে কেউ কিছু বললে আমার ক্ষত স্থানে
নুনের ছিটা দেয় । বল মা, আমি কিভাবে তোমাকে ভুলতে পারি ? তোমার ভালবাসার রঙ আর আমার ব্যাথার তুলি দিয়ে আমি যে তোমাকে মধু ঢেলে আমার হৃদয়ের প্রতিটি পরতে পরতে এঁকে রেখেছি । তুমি কি তা জান
মা, আমার হৃদয়ের ব্যাথা আর নয়নের বারিধারা দেখে চাঁদ ,তাঁরা আর ফুল ফলে ভরা বৃক্ষ লতারা সবাই কাদে । মা , আমার ভাগ্যবতি মা । তুমি তো আমাকে বড় করে তোলার কারনে আমি আজ এই সুন্দর পৃথিবীর আলো বাতাস ,রুপ রস ,গন্ধ দু নয়ন ভোরে দেখার সু্যোগ পেয়েছি ।
তাই সপ্তম আকাশের চেয়ে উচু সন্মানের যদি আর কিছু থাকে তা আমার মা । এই পৃথিবীর চেয়ে গুরুভার কিছু থাকলে তা আমার মায়ের ভালবাসা। ছোট বেলায় কত কিছুর জন্য কত বায়না ধরেছি তোমার কাছে ।তুমি কেন
একটু ও রাগ কর নাই ।

মা আমি অনেক একা ।এই মনটা নিঃসংগ ।আমাকে এই পৃথিবীতে তোমার মত কেউই ভালবাসে না ।এই পৃথিবী মা তোমার
মত ভালবাসতে জানে না ।

মা তুমি আমার আদুরনী মা । তাই আমি এখনও তোমার অবাধ্য হইনি । । তুমি নামাজ পড়া শিখিয়েছ । নামাজ ও রোযা না পড়লে বা না রাখলে বকা দিতে এখন
আলহামদুলিল্লাহ সেই ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি । তুমি বলেছ দুনিয়াবী কিছুর প্রতি লোভ লালসা আনতে না । তুমি বলেছো কাউকে
হিংসা করতে না, পারলে উপকার করতে না পারলে ক্ষতি করতে না বা কারো সাথে খারাপ ব্যাবহার করতে না ।আমি তাই করছি । এই ভাবে তোমার আদেশ আমার মাথার মুকুট করে আমি মেনে চলছি ।

প্রতি বছরি ঈদ আসে, ঈদ অর্থ আনন্দ, খুশি। কিন্তু আমাদের পরিবারে ঈদ মানে বেদনা,
কান্না। ঈদ মানে বুকফাটা আর্তনাদ। মাকে ছাড়া আমরা কিভাবে ঈদে আনন্দ করি? এক মুহুর্তের জন্য আমার মাকে
ভুলে থাকতে পারি না। আমার মা আমার শিরা,উপশিরা, প্রতিটি রক্তকণিকায় মিশে
আছে। আমি প্রতিটি মুর্হুতে আমার
মায়ের শূণ্যতা অনুভব করি। কারও কাছ
থেকে কোন শান্তনা পেতে আমার ভালো
লাগে না, কেবলি মনে হয় ওদের মনভুলানো শান্তনা পেয়ে আমি যদি আমার মাকে ভুলে যাই। আমি অনাদর অবহেলার মাঝে আমার মাকে মনে রাখতে চাই। আমার মা আমার সব। আমি আমার মাকে মনে রেখেই বেঁচে থাকতে চাই! সারা
দিন কেটে যায় ব্যস্ততার মাঝে। দিন
গিয়ে রাত আসে, সবাই যখন ঘুমে
বিভোর কিন্তু আমি কিছুতেই দু চোখের
পাতা এক করতে পারিনা। মনে পরে
মায়ের সেই হাসি ভরা মুখ, মনে পরে
মায়ের সব স্মৃতি। মহান আল্লাহর দরবারে
প্রার্থনা, তিনি যেনো
আমার মা কে ভালো রাখে
জান্নাতুল ফেরদাউস যেনো
দান করেন ।,

“#MOTHER” #A_word_that_means_the_world_to_me.

#মা এই ছোট্র এক সিলেবল শব্দটিতে বেজে ওঠে কতনা সূরের মুর্ছন। এই মিষ্টি শব্দটি উচ্চারনের সঙ্গে সঙ্গে মনের পর্দায় ভেসে ওঠে একটি স্নেহ ভালোবাসায় ভরা মুখচ্ছবি। মা হারানোর বেদনা জীবদ্দশায় পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন একটা অধ্যায়। এই বেদনা ঠিক ভাষায় অনুবাদ করা যায় না। শব্দে আটকানো যায় না। মুখে বলাও যায় না, কেমন ব্যথাতুর সেই কষ্ট।

“… My Lord! Have mercy on them both (parents) as they did care for me when I was little.”

My mother taught me everything, except how to live without her,

বন্ধুরা আজ তোমাদেরকে সব শেশে শুধু একটি কথা
বলার জন্য এই পোষ্ট করেছি। ‘এখন আমি কী ভাবছি জানো?
আমি ভাবছি, কীভাবে তোমাদের বোঝাতে পারি যে, যাদের মা বেচে আছে তারা কত ভাগ্যবান আর মায়ের দোয়ার ফযীলত কী;?
মায়ের দোয়া থাকলে কী হয় আর
দোয়া না থাকলে কী হয়। আমি
জানি না, কীভাবে বললে, কোন
ভাষায় বললে তোমাদের
বুঝতে পারবে এবং মায়ের জন্য
জান কোরবান করবে। ’ এর অর্থ এই নয়
যে, আমি খুব বুঝে গিয়েছি। তবে
এতটুকু বুঝেছি যে, মা ছাড়া
সন্তানের কোনো গতি নেই। মা
যেমনই হোক মায়ের দোয়া যারা
পাবে জীবনে তাদের কোনো ভয়
নেই। মানুষ তো মূল্যবান সম্পদ অনেক
পয়সা খরচ করে অর্জন করে। আমরা
সবাই যেন মায়ের সন্তুষ্টিকে
মূল্যবান সম্পদ মনে করি এবং
যেকোনো মূল্যে তা অর্জন করার
চেষ্টা করি। আমি এই অল্প বয়সে
আল্লাহর কাছ থেকে যা কিছু
পেয়েছি, তা সবই আমার মায়ের
দোয়ার বরকত। এটা আমাকে
আল্লাহ তাআলা হাতে ধরে ধরে
বুঝিয়ে দিয়েছেন।,,,,,,,, আমার মা আমার জন্য সবসময় বেশী বেশী দোয়া করতেন। এখন আমার জন্য দোয়া করিবে কে? আপনারা আমার মায়ের জন্য খাছ করে দোয়া করবেন আল্লাহ যেন শান্তিতে রাখেন। ও বেহেস্ত নসিব করেন,,,,,,আমিন….,

বন্ধুরা আমার জীবনের দুর্লভ ট্রাজেডি,,,,, যতক্ষণ লেখেছি ততক্ষণ চোখের পানি বৃষ্টির মতো ঝেড়েছে। একটু সময় নিয়ে পড়তে হবে প্লিজ।
প্রত্যেক মানুষের কোন না কোন কষ্ট
থাকে। তবে আমার কষ্ট একটু ভিন্ন।
আমার জীবন সব সময় অম্লান বেদনায়
ভরপুর। আর জীবনে সব সময় কষ্ট থেকে
যাবে। এ কষ্টের আর শেষ হবে না। কষ্ট
সব সময় আমার পিছু হাটবে। প্রিয়জন
হারানোর কত বেদনা, দুঃখ, কান্না,
বেদনার তা এখন আমি বুঝি। প্রিয়জন
হারালে মনে হয় পৃথিবীর সব কিছু
হারিয়েছি। প্রিয়জনের মধ্যে সবচেয়ে
কাছের মানুষ হচ্ছে মা। প্রিয় মাকে
যদি কেউ হারায় তাহলে মনে হয়
পৃথিবীর সব কিছু হারালো। সে যদি
তার মাকে খুব ভালবাসে। মায়ের কাছ
থেকে আমরা সব পেয়েছি। পৃথিবীর
এমন কোন জিনিস নেই যে, আমরা
পাইনি।আমি
লেখাপড়ার জন্য দূরে থাকতাম। তখন মা
দিনে ৩ থেকে ৪ বার
ফোনে কথা হত এবং বলতো বাবা তুই
কি করোছ? তুমি ভাত খেয়েছ, তোমার
শরীর ভাল আছে?
বাড়িতে গেলে যে খাবার
আমার পছন্দের ছিল সে খাবারগুলোর
আয়োজন করত। বাড়ি গেলে সব সময়
হাসি খুশিতে রাখত। আর আমরা ৫ভাই এক বোন একত্রে হলেতো সে খুশিতে,,,,,,, আত্নহারা হয়ে যেতো,মানুষকে
উপকার করার জন্য নানা উপদেশ দিত।
সবকিছু বিবেচনা করে দিনগুলো
ভালভাবে চলছিল। কিন্তু এই সুখ আল্লাহ
সইতে পারেনি। আল্লাহ তাকে SLE নামক রোগ দিয়ে বসল। সেই থেকেই হাসপাতালে জীবন যাপন শুরু ঢাকার কোন হাসপাতাল বাদ নাই যেখানে মাকে নিয়ে যাওয়া হয় নাই। মুহুর্তের মধ্যেই সবকিছু তছনছ হয়ে গেল
আমাদের পরিবারের। প্রস্তুত হয়ে
গেলাম এতিম হয়ে যাওয়ার জন্য। কোন ডাক্তার, কবিরাজ, হাকিম কিংবা
কোন চেষ্টায় কোন কাজ হলো
না। সব মিলিয়ে আমার জীবন অভিশপ্ত
জীবনে পরিণত হল। মা ঢাকা মেডিক্যাল এ
এতই দুর্বল যে, ঠিকমত কথা বলতে পারত
না এবং নাড়চড়া করতে পারত না। ওই
সময় আমি মায়ের পাশে মা ক্ষীণ কণ্ঠে বলে, আমার কাছে
একটু আয় এবং হাতটা তোর পেটের উপর
রাখ। পেটে হাত রাখলে মা বলে, তুই
সারাদিন কিছু খাস নাই। তখন আমি
কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি। কারণ মা চলে
গেলে এ রকম কথা আর কেউ বলবে না। মা কে সকালের খাবার খাওয়ানোর পর বললো তোরা খা আমাকে একটু কাত করে দে। একটু পর আমি ডাকলাম মা উঠো তোমাকে খাওয়ানোর টাইম হয়েছে বলে মাকে সোজা করে শোয়ালাম একটু পানি দিলাম, আমি দেখি মা আমার কথা বলে না চোখ গুলো কেমন জানি গোলাটে হয়ে যাচ্ছে তখন আমি বোঝতে পারি যে মা আর বাচবে না,,,,,,,
এটাই ছিল আমার মায়ের সাথে শেষ
কথা। আমি ওই দিনের কথা কোনদিন
ভুলতে পারব না। এর তিন ঘন্টা পর
এম্বুলেন্স এ রাস্তায় বিকাল ৫টার সময় আমার মা
শোয়া এবং তার পাশে বসে আমরা তিন ভাই ভাবি মামা মামি
কান্না করছি,মা আল্লা হ আল্লাহ বলতে বলত ঠিক ওই সময়ই মায়ের
আত্মা দেহ ছেড়ে চলে যায়।আল্লাহ,,,,,,,,, ওই
মুহুর্তগুলো আমার জীবনের চির স্মরণীয়
হয়ে থাকবে। তখন থেকে আমার নতুন
নামকরণ হলো এতিম ছেলে। আমি এতিম
হয়ে গেলাম সারা
জীবনের জন্য। আর এটাই ঠিক। এই বয়সে
কয়জন এতিম হয়? আমি এখনও
লেখাপড়ার জন্য দূরে বিদেশ থাকি। কেউ
ফোন দিয়ে বলে না, তুমি ভাত খাইছ?
তুমি কি করো? তুমি বাড়ি আসবা কবে?
পছন্দের খাবার আর কেউ আয়োজন করবে
না। কেউ ওই রকম হবে না। এই মধুময় সুন্দর
দিনগুলো আর আসবে না। মা, তুমি চলে
গেছো। কিন্তু তুমি যে, সুন্দর, মধুময়
দিনগুলো রেখে গেছ সেই দিনগুলো
কখনো ভুলতে পারব না। সারাজীবন ওই
দিনগুলো ধরে রাখতে হবে এবং
তোমার কথা মনে পড়বে। মা তুমিতো
চলে গেছ। যাওয়ার পর আমার যে কি
অবস্থা, কি কষ্ট তা বলে বোঝাতে
পারব না।
মা জানো, এতিম হবার যে কত যন্ত্রণা
তা আগে বুঝতে পারিনি, এখন বুঝি।
সবশেষে আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা,
কেউ যেন আমার মত এই বয়সে এসে এতিম
না হয়। যদি হয় তাহলে তার জীবনে
কষ্টের সীমা থাকবে না। আর আমার সকল বন্ধুদের উদ্দেশ্য আমার দাবী,
কেউ যেন মা-বাবাকে কষ্ট না দেন।
মা-বাবা যখন চলে যাবে তখন বুঝবে
মা-বাবা হারানো কত যন্ত্রণা। তখন
আমার মত সারাজীবন কাঁদতে হবে। ধন্যবাদ সবাইকে,,,,,, আমার মায়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন প্লিজ।
বৃদ্ধ মা বাবা কে আপনি যেমন করে
ভালবাসবেন , ঠিক তেমনটাই আপনি
ফেরত পাবেন আপনার সন্তানদের
মাধ্যমে ! তাই বলছি , নিজের সুখের
জন্য হলেও মা বাবার সেবা যত্ন করো !
” রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানি
সাগিরা ‘
” It was the black Day of our life (8th June 2015)” মা’র
সেই আচমকা চলে যাওয়া, আর
আমাদের শূন্য হয়ে যাওয়া, সেই সাথে
আমাদের প্রত্যেকেরই একরাশ
দীর্ঘশ্বাস সাথে নিয়ে চলা আর শেষ
হয়নি। কখনো শেষ হবে এমনটা আমরা
কেও ভাবতেও পারছিনা। ছায়াটা
সরে গিয়ে হটাৎ সূর্যটা ঠিক মাথার
উপর চলে আসলে যে রকম লাগে এই
অনুভূতি নিয়ে আমি,আমার
বাবা,আমার ভাই বোন সাবাই চলছি বা
বলতে হয় সুর ছাড়া একই মঞ্চে বাজাচ্ছি।
আমি খুব একা হয়ে গেছি, সেইসাথে
আমার চলার পথ,আমার স্বপ্নগুলোও খুব
একা হয়ে গেছে, এটা বলবার মত
জায়গাও একা হয়ে গেছে।
আমার বাবা- আমাদের
কাউওকে বুঝতেই দিতে চাইনা আমার
মায়ের প্রতি তার অহর্নিশ
ভালবাসাকে!!! আমার প্রাণের ছোট ভাই,
সেই ভাই কিছু বুঝে ঊঠবার আগেই
মাকে হারায় এবং ও ভাবে এই
হারাবার সময়েই তার সবকিছু
হারিয়ে যায়, হারিয়ে যায় তার
কাছ থেকে তার প্রত্যাশিত
জীবন,জীবনের বড় হয়ে ঊঠতে চাওয়া
স্বপ্নগুলো। আমি প্রাণ দিয়েই চাইবো ওর
স্বপ্নগুলোকে বাচিয়ে রাখতে।
আমার বড় বোন খুবই সাদামাটা একটা
মেয়ে এখন বিবাহিত জীবন-যাপন
মাকে ছাড়া খুব একা হয়ে যায়।আমার বড় বোন ও আমদের সকলেরই
একটা কথা “মা” থাকলে আমদের
কাউকেই হয়ত এতটা ক্রাইসিসের মধ্য
দিয়ে চলতে হতনা!!!!!!!!!!!
যাহোক আমরা আমাদের ভাল না
থাকার নিয়তি নিয়েই চলতে
থাকি!!
আর “মা” তুমি ভাল থেকো, আমরা
তোমাকে ছাড়া সবাই খারাপ আছি
এটা তুমি আগেও যেমন জানতে এখনও
ঠিক তেমনই জেনো।। আল্লাহ তুমি মাকে ভালো রেখো। আমিন
মা , তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও । হে মনীব মায়ের জন্য এত ভালবাসা আমার মনের মাঝে তুমিই সৃষ্টি করেছ। আবার তুমিই আমাকে একা রেখে মাকে নিয়ে নিয়েছো। মায়ের জন্য আমার মনের মাঝে কত ব্যাথা তা এক মাত্র তুমিই ভাল জানো। আজ আমি নিজে থেকে কিছুই বলতে চাই না। তোমার শিখিয়ে দেয়া ভাষায় বলছি
“#রাব্বির_হামহুমা_কামা_রাব্বাইয়ানি_সাগিরা”। আমীন।

লেখক, শিক্ষক সাহিত্যিক ও কলামিস্ট
এম এ সাইদ (তন্ময়)
সম্পাদক
প্রতিদিন ইসলাম

ENGLISH